Skip to content Skip to footer

বাংলাদেশের হৃদয়ছুঁয়ে

কলকাতা থেকে বাসে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম আমরা বারো জন ২০১২র ১৫ ডিসেম্বর। বেনাপোল পৌঁছে দুটি গাড়ি নিয়ে কুষ্টিয়া, শিলাইদহ ঘুরে জলপথে সুন্দরবন দেখে, খুলনা থেকে বাসে ঢাকার পথে পাড়ি দিলাম। মাঝে বাসসুদ্ধ বার্জে চড়ে পদ্মানদী পার হওয়া। তিনতলা বার্জেও প্রতি তলাই লোকে লোকারণ্য। রেস্তোরায় শুধু চা-কফি নয় পদ্মার ইলিশ মাছ আর ভাতও কাউকে কাউকে খেতে দেখলাম। চটজলদি ঢাকা শহর দেখে নিয়ে ২১ তারিখ সারারাত বাস-জার্নি করে সকালে পৌঁছে গেলাম কক্সবাজার, সেখান থেকেই রাঙামটি যাওয়ার বাসনা।
কক্সবাজারে হইহুল্লোড় দেখে তা চক্ষু চড়কগাছ। সমুদ্রতটটি লোকে বিস্তৃত পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রতটটি লোকে লোকারণ্য, সারা পৃথিবী থেকে লোকজন চলে এসেছে ছুটি কাটাতে। হোটেলও অগুন্তি- পাঁচতারা থেকে সাধারণ মানের। এখানে পৌঁছে মহেশখালি যাওয়ার লোভ সামলানো গেল না। তড়িঘড়ি নৌকাঘাটে পৌঁছে দেখি অসংখ্য মোটর বোট, স্পিড বোট এমনকী ঐতিহ্যশালী সাম্পানগুলি দাঁড়িয়ে আছে এদিক-ওদিক পাড়ি দেবার জন্য। মহেশখালি যেতে মোটর বোটে লাগে প্রায় একঘন্টা, স্পিড বোটে ৩০ মিনিট। সময় বাঁচাবার জন্য স্পিড বোটই বেছে নেওয়া হল। বঙ্গোপসাগরের অতল নীল জলের ওপর দিয়ে স্পিড বোটে মহেশখালি যাওয়া কিন্তু রীতিমতো একটা অ্যাডভেঞ্চার।
ছোট্ট দ্বীপ মহেশখালি মাত্র ২৬৪ বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত। সুন্দরী, গরান, কেওড়া। অধ্যুষিত ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট আর পাহাড় দ্বীপটিকে যেন সাজিয়ে-গুছিয়ে রেখেছে। এখানে আছে আদিনাথ শিব মন্দির, বৌদ্ধ প্যাগোডা ও একাধিক মসজিদ। ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষ পাহাড়র নীচে সমুদ্রবেলায় প্রতি বছর মেলা বসে। ১৩ দিনের এই মেলা দেখতে সাগর পেরিয়ে চলে আসে অগণিত মানুষ। এই ফাল্গুনী মেলা দেখার ইচ্ছে মনে নিয়ে মহেশখালিকে বিদায় জানিয়ে ফিওে এলাম কক্সবাজার।
পরদিন ভোরে সেন্ট মার্টিন আইল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা হলাম। কক্সবাজারের দক্ষিণ- পূর্বে ৯০ কিলোমিটার দূরে টেকনাফ থেকে জাহাজে নাফ নদীর বুকে ভাসতে ভাসতে পৌঁছে গেলাম সেন্ট মার্টিন আইল্যান্ডে। মাত্র ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই দ্বীপটি স্থানীয় মানুষের কাছে নারিকেল জিঞ্জিরা ও দারুচিনি দ্বীপ নামেও খ্যাত। এই দ্বীপের একটি অংশ ছেঁড়াদ্বীপ বা জোয়ারের সমর মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সাধারন মোটর বোটে সমুদ্রের ওপর দিয়ে ছেঁড়াদ্বীপে যাওয়ার মজাই আলাদা। দারুচিনি দ্বীপে একরাত কাটিয়ে আবার ফেরা হল কক্সবাজারে। সেটা ছিল ২৪ ডিসেম্বর। পরদিন ২৫ তারিখ রাঙামাটি যাওয়ার পরিকল্পনা।
রাঙামাটি রওনা হতে সেদিন একটু দেরিই হল। গাড়ি যখন এল, তখন বেলা দশটা বেজে গিয়েছে। ১৯০ কিলোমিটার পথ। রাঙামাটি যাবার রাস্তাটি অসম্ভব সুন্দর। মসৃণ পথটিকে ছায়ায় ঘিরে রেখেছে অসংখ্য বড় বড় গাছ।
একটা লাল, নীল রং করা ঝুলন্ত ব্রিজ পেরিয়ে ফেরিঘাটে পৌঁছলাম। ঘন নীল জলে অসংখ্য সিগাল আর পানকৌড়ির মেলা। সবুজ গাছে ঢাকা দৈতৌর মতো পাহাড়গুলোর পাশ দিয়ে যাবার সময় মনে হচ্ছিল সেগুলো যেন কোন অতল থেকে উঠে এসেছে। একটা ছোট্ট দ্বীপে আমাদের মোটর বোট ভিড়ল।
দুপাশে পাহাড় আর ঘন জঙ্গল। হাতি ও অন্য বুনো জানোয়ারের আনাগোনাও নাকি যথেষ্ট। কিছুদূর এগোনোর পর পাহাড়ে ওঠার পালা। গোধূলির রাঙাধুলো উড়িয়ে গাড়ি তখন উর্ধ্বশ্বাসে ছুটে চলেছে কাপতাই হৃত লক্ষ্য করে। প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে দেখতে মন বলছে এই পথ শেষ না হলেও মন্দ হয় না।
দুর্বার গতিতে গাড়ি চালিয়েও সন্ধে নামার আগে কাপতাই লেকে পৌঁছন গেল না। তাই আপাতত অতিথিনিবাসেই যাবার সিদ্ধান্ত হল। রাঙামাটির অতিথিবাসিিট বেশ বড়, কম্পাউন্ডে অনেকগুলি সুসজ্জিত কটেজও রয়েছে দেখলাম। ক্রিসমাস ডে বলে চারদিকে রঙিন আলোর রোশনাই। চা পর্ব শেষ কওে সান্ধ্যভ্রমণে বেরিয়ে পড়লাম। ২৫ ডিসম্বরের কনকনে শীতের সন্ধ্যায় তারার আলোয় পাহাড়ি পথে চলতে চলতে মনে হচ্ছিল যেন পৃথিবীর বাইরে কোথাও রয়েছি। হঠাৎ দেখি আমাদের দুি জাপানি বন্ধু নোবুওসান ও শোকোসান, যারা একটু আগে আগেই হাঁটতে বেরিয়ে পড়েছিল, আমাদের দিকেই ফিরে আসছে। সঙ্গে একজন সশস্ত্র পুলিশ। পুলিশটিকে জিজ্ঞেস করে জানা গেল রাঙামাটি সীমান্তবর্তী এলাকা বলে বিদেশীদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ সুরক্ষাব্যবস্থা রয়েছে। আরও কয়েক পা এগিয়ে পুলিশ স্টেশনে ভারপ্রাপ্ত অফিসারের সঙ্গে দেখা হল। ওই নির্বান্ধব পুরীতে একদল ভারতীয় বাঙালি ও দুই বাংলাভাষী জাপানিকে পেয়ে ভদ্রলোক তো আহ্লাদে আটখানা, ঘন্টাখানেক জমিয়ে গল্প করার সময় জানা গেল এ অঞ্চলে আসতে গেলে বিশেষ পারমিট দরকার। রাঙামাটিতে বেড়াতে আমাদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্য ভদ্রলোক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে দিলেন এভং পরদিন সকালে কাপতাই লেকে বেড়ানোর সময় দুজন সশস্ত্র পুলিশ সঙ্গে দেবেন বলে জানালেন।
ঈাহাড়ি পথে চলতে চলতে বেশকিছু চাকমা উপজাতির মানুষের সঙ্গে আলাপ হল। এরা অনেকেই ভারতের ত্রিপুরা পর্যন্ত দেখে এসেছে বলে জানাল। রাঙামাটিতে চাকমা, মারমা, লুসাই, গোর্খা ইত্যাদি এগারোটি উপজাতির বাস। এদের আথ-সামাজিক ব্যবস্থা, কৃষ্টি, ভাষা প্রাচ্যেও সংস্কৃতিতে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। চাষবাস ও মাছধরা এদের প্রধান জীবিকা। লেখাপড়াতেও পিছিয়ে নেই এ যুগের ছেলেমেয়েরা। এই পথে আর একটু এগিয়েই রয়েছে বিশাল রক্ষাকালী মন্দিও, দোকানপাট, বাজার ইত্যাদি। মিলিটারী ক্যান্টনমেন্টের ক্যাফেটেরিয়া ধোঁয়া ওঠা কফি খেতে খেতে বহুক্ষণ আড্ডার পর ফেরা হল অতিথিনিবাসে। রাতে ডাইনিং রুমে কাপতাই লেকের সুস্বাদু মাছ আর ভাত দারুণ জমল্ তবে শুধু বাঙালি নয়, বার্মিজ খাবারদাবারও এখানে ইচ্ছে করলে পাওয়া যেতে পারে।
পরদিন ভোরবেলা তৈরি হয়ে নিলাম। বারান্দা থেকে বাইরে এসে দেখি চারদিকে বিচিত্র সব বর্ণেও, গন্ধের ফুলের মেলা। অদূরেই কাপতাই লেক। ব্রেকফাস্ট শেষ হতে না হতেই বন্দুকধারী দুই রক্ষক এসে হাজির। সবাই মিলে রওনা হলাম লেকের দিকে। কাপতাই লেকটি কিন্তু প্রাকৃতিক নয়, কৃত্রিম। কর্ণফুলি নদীতে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হওয়ার ফলেই কাপতাই লেকের সৃষ্টি। এটির উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ৫.৪৭ মিটার। আয়তন ৬৭০.৪ বর্গকিলোমিটার ও গভীরতা ১০০ থেকে ৪৭০ ফুট। দূর্ভাগ্যবশত এটি তৈরির সময় বিস্তীর্ণ জনবসতি ও সুবিশাল চাকমা রাজপ্রাসাদটি জলের নিচে তলিয়ে গিয়েছে।
সুন্দও একটা লাল, নীল রং করা ঝুলন্ত ব্রিজ পেরিয়ে ফেরিঘাটে পৌঁছলাম। এখানে থেকেই মোটর বোটে তিনঘন্টার রাইড। ঘন নীল সবুজ গাছে ঢাকা দৈত্যেও মতো পাহাড়গুাের পাশ দিয়ে যাবার সময় মনে হচ্ছিল সেগুলো যেন কোন অতল থেকে উঠে এসেছে। ব্যাপারটা আসলে উল্টো। নিচু উপত্যকা জলে ভেসে যাওয়াতে পাহাড়গুলোই ডুবে গিয়েছে। চুড়োগুলো কেবল মাথা তুলে তাদের অস্তিত্বের কথা জানান দিচ্ছে। একটা ছোট্ট দ্বীপে আমাদের মোটর বোট ভিড়ল। এখানে শুভলং জলপ্রপাত দ্রষ্টব্য। এর আরেকটা নাম জলঝিরি, শীতকাল বলে জলের ধারা শীর্ণ। পাহাড়ি দ্বীপখানা রঙিন ফুলে ভরা । অপূর্ব কিছু বিরল প্রজাতির প্রজাপতিও চোখে পড়ল। এখানে দুই বোরখা পরিহিতা মহিলা ও একদল বাচ্চার সঙ্গে আলাপ। আমাদের দলের সদস্য শক্তিদা বাচ্চাদের দিকে টফি এগিয়ে দিলে মায়েদেও কাছ থেকে অনুরোধ এল, ‘আমাদের বাড়ি চলেন, কয়েকদিন থাকবেন নয়’। নির্দ্বিধায় ১২ জনকে পথ থেকে আমন্ত্রন করে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার আকুলতা দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারা গেল না। অনেক বলে কয়ে এদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আবার চড়ে বসলাম বোটে। বিশাল কাপতাই হ্রদেও যেন কোনও সীমা-পরিসীমা নেই। যে দিকে তাকাই জল আর জল। মাঝে মাঝে দ্বীপবাসীরা এদিক ওদিকে চলেছে নৌকা বা মোটর বোটে। এবার আমাদের নৌকা ভিড়ল আর একটি দ্বীপে। দ্বীপটির নাম চাকমা মাস্টারপাড়া। এখানে চোদ্দ ঘর চাকমার বাস। মেয়েরা হাতে তাঁত বুনে বানান রঙের অপূর্ব সব চাদও, গামছা ইত্যাদি তৈরি করে। সেগুলি আবার উঠোনে বাঁশের খুঁটি পুঁতে এত লোভনাীয় করে সাজানো যে পর্যটকরা খালি হাতে ফিরে যাবার কথা ভাবতেই পারবে না। এরই মধ্যে এক বৃদ্ধা চাকমা থালায় কাপ সাজিয়ে সকলের জন্য গরম গরম চা নিয়ে উপস্থিত। খেতেই হবে, কোনও কথা শুনতে রাজি নন। অনেক কথাবার্তার পর আবার ভেসে পড়লাম জলে- গন্তব্যে পেডা টিং টিং দ্বীপে।
পেডা টি ং টিং একটা ছোট্ট বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। নামটা যেমন মিষ্টি, দ্বীপটাও তাই। হরেকরকম পাখি আর গাছগাছালিতে ভরা পেডা টিং টিং- এ গেলে ফিওে আসতে ইচ্ছে করবে না। রাত্রিবাসের জন্য কয়েকটি কটেজও রয়েছে। বাংলাদেশ পর্যটন বিভাগে খোঁজ নিয়ে আগে থেকে বুকিং করে নিতে হবে, কারণ এগুলি কিন্তু সহজলভ্য নয়। পূর্ণিমার রাত্রে পেডা টিং টিং অসাধারণ। রেস্তোঁরার খাবারদাবারও ভোজনরসিক পর্যটকদের প্রশংসা পেয়েছে। বাঁশের পাত্রে ব্যাম্বু চিকেন ও ব্যাম্বু ফিশ যে খেয়েছে সে নাকি কোনওদিন ভুলতে পারবে না। হাতে সময় কম পড়ে যাওয়ায় পেডা টিং টিং-এ নামার সৌভাগ্য হল না। তবে জীবনের কোনও এক সময় দৌড়ঝাঁপ যখন কমে যাবে, পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পেডা টিং টিং এর কোনও এক কটেজে স্তব্ধ প্রকৃতির মধ্যে কয়েকদিন কাটিয়ে যাব এই আশা মনে নিয়ে ফিওে এলাম রাঙামাটির মূল ভূখন্ডে।
হাতে সময়ের টানাটানি। তল্পিতল্পা গুছিয়ে প্যাকড লাঞ্চ নিয়ে চটপট উঠে পড়া হল। রাঙামাটিকে বিদায় জানিয়ে বেরোবার আগে দেখে নিতে হবে রাজবনবিহার, চাকমা রাজবাড়ির অবশিষ্ট অংশ ও ট্রাইবাল কালচারাল মিউজিয়াম। রাজনবিহার একটি বৌদ্ধ প্যাগোডা ও সংলগ্ন মঠ যা প্রাচীনকাল থেকে অবিভক্ত বাংলায় বৌদ্ধ ধর্মের জনপ্রিয়তার সাক্ষ্য বহন করে চলেছে। সামনে বিস্তীর্ণ প্রান্তরে এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী উদাত্ত কন্ঠে প্রভু বুদ্ধের বাণী উচ্চারণ করে চলেছেন এবং অগণিত নরনারী, ভিক্ষু মন্ত্রমুগ্ধেও মতো তাঁর মুখনিঃসৃত বাণী শুনছে। ইচ্ছে করছিল এই অমৃতসভার এককোনে আসন পেতে বসে পড়ি। তার উপায় নেই। এবার যাব জলের আগ্রাসন থেকে বেঁচে যাওয়া চাকমা রাজবাড়ির অবশিষ্টাংশটুকু দেখে নিতে। এখানেও কাপতাই লেক। স্থানীয় নৌকা কওে পৌঁছলাম রাজবাড়ি। এটি আগে ছিল চাকমা রাজার বিচারসভা, এখন সরকারি অফিস। কয়েকদিন আগে জমজমাট মেলা হয়ে গেছে সামনের মাঠে। ভাঙামেলায় পড়ে থঅকা কিছু দোকান থেকে চাকমাদের হাতে তৈরি জিনিসপত্র কিনে আবার ফিরে এলাম। এখানকার নৌকাগুলো বেশ লম্বা। অনেক যাত্রী নিয়ে সারাদিন ধরে পারাপার করে। যাত্রীদের মধ্যে আছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া, চাকুরিজীবি, ব্যবসায়ী, চাষি, বৌদ্ধ ভিক্ষু ইত্যাদি। এরপর যাওয়া হল ট্রাইবাল কালচারাল মিউজিয়ামে। ইতিহাস, ভূগোল আর উপজাতি সংস্কৃতিকে বিষয় করে তৈরি মিউজিয়ামটি বেশ আকর্ষণীয়। এবার সত্যিই ছেড়ে যাব রাঙামাটির রাঙাপথ। প্রায় ৭৭ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে পৌঁছতে হবে চট্টগ্রাম, সেখান থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে সতীকুন্ড দেখে নেবার ইচ্ছে সবার। সতীকুন্ড ৫২টি শক্তিপীঠের মধ্যে একটি। পুরাণ অনুসারে সতীর ডানহাত পড়েছে এর সংলগ্ন চন্দ্রনাথ একটি পবিত্র তীর্থ। কথিত আছে কবি জয়দেব নাকি কিছুকাল এখানে বাস করেছিলেন। সতীকুন্ডের আরেকটি বিশেষত্ব আছে। এখানে পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ শিপ ব্রেকিং ইন্ডাস্ট্রি। সহস্রধারা জলপ্রপাতটিও দেখার মতো। রাতে চট্টগ্রামে ফিরে বাস ধরলাম ঢাকার। সেখান থেকে আবার বাসে কলকতা।